পবিত্র কোরআনের ক্রম ও আয়াত-শব্দ সংখ্যা নিয়ে ভ্রান্তির সমাধান

পবিত্র কুরআনুল কারিমের সূরা সমূহের ক্রম, আয়াত সংখ্যা ও শব্দ সংখ্যা নিয়ে বেশ কিছু জায়গায় অভিযোগ বা প্রশ্ন তুলতে দেখা যায়। এই ছোট বিষয়েরই সমাধান নিয়ে এই প্রবন্ধটি তৈরি করা।

Table of Contents

{tocify} $title={Table of Contents}

কোরআনের ক্রম

কাফেরদের একটি বেশ জনপ্রিয় সাইটে বলা হয়েছে কোরআনে বর্তমানে যেভাবে সূরা গুলো সাজানো রয়েছে তা ভুল, উলটা পালটা। কারণ কোরআনের সূরা নাজিলের ক্রম ও বর্তমানে যেভাবে সাজানো রয়েছে সেটার ক্রম এক না।

আমরা দেখি আল্লাহ কোরআনে বলেছেন তিনি কুরআন নাজিল করেছেন ক্রমে ক্রমে [1]

আবার কোরআনের বহু আয়াত হতে প্রমাণ পাওয়া যায় কোরআন নাজিল হলে তা লিখে রাখা হত। এভাবে কোরআন লিখিত ও মৌখিক দুভাবেই সংরক্ষিত হয়েছিল [2] এছাড়া রাসুলের সিরাতে ও হাদিসেতো অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে কোরআন লিখিত আকারে সংরক্ষণ করার, এমনি রাসুলের প্রায় ৪০ জন বা তারচেয়েও বেশি ওহি লেখক ছিলেন যারা কোরআন নাজিল হলে তা লিখে রাখতেন। এছাড়া রাসূল ﷺ এর জীবদ্দশায় অগণিত সাহাবি হাফেজ ছিলেন, ৪ খলিফা সহ, সবচেয়ে সম্মানিত সাহাবাগণ ও যারা বেশির ভাগ রাসুলের কাছে থাকতেন তাদের সবাই হাফেজ ছিলেন, এমনকি রাসূল ﷺ বহু জায়গায় হাফেজ ও কারী প্রেরণ করতেন সেই এলাকাবাসীদেরকে কোরআন শিক্ষা দেওয়ার জন্য। যদিও কুরআন এর সম্পূর্ণ একত্র একটা মাসাহিফ তৈরি করা হয়নি রাসুলের জীবনে। [3]

আমাদের সবারই জানা রাসুলের ওহি লেখকদের বিষয়ে। আবার আবু বকর (রা) কীভাবে পবিত্র কোরআনের সকল খণ্ড খণ্ড অংশ সংগ্রহ করান ও সেগুলোর বিশুদ্ধতা হাফেজ ও ওহি লেখকদের দ্বারা নিশ্চিত করান ও একটি নুসকা তৈরি করেন কিতাব আকারে। তারপর ওমর (রা) এর সময় তার কাছে হস্তান্তর ও পরে উম্মুল মুমিনিন হাফসা (রা) এর নিকট আমানত রাখা। তারপর তৃতীয় খলিফা ওসমান (রা) এর দ্বারা পুনরায় হাফেজদের কমিটি, ওহি লেখক, হাফসা (রা) এর কাছে থাকা কুরআনের নুসখা ইত্যাদি দ্বারা কোরআনের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করে কয়েক কপি তৈরি করা।

সবগুলো বিষয় ও ঘটনাগুলো স্বাভাবিক ভাবে দেখতে অনেকের কাছে কেমন যেন কন্ট্রাডিকশন মনে হতে পারে, কোরআনের আয়াত নাজিলের ক্রম ও কিতাব আকারে সাজানোর ক্রমে মিল নেই। এসবের আসল কাহিনি বা রহস্য কী!? এটা খুব সিম্পল বিষয়, আপনারা যদি একটু গভীর ভাবে চিন্তা করেন তাহলেই এর উত্তর পেয়ে যাবেন। চলুন তাহলে এর সমাধান কি তা দেখে নেওয়া যাক।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কোরআনে বলেছেন কোরআনকে আস্তে আস্তে প্রয়োজন অনুসারে ক্রমে ক্রমে নাজিল করেছেন, অর্থাৎ যখন যেটা প্রয়োজন হয়েছে সেই ক্রম হিসেবে নাজিল করেছেন। এর প্রমাণ পবিত্র কোরআনেই রয়েছে, যেমন আল্লাহ বলেন -

আর কাফেররা বলে, সমগ্র কুরআন তার কাছে একবারে নাজিল হলো না কেন? এভাবেই আমরা নাজিল করেছি আপনার হৃদয়কে তা দ্বারা মজবুত করার জন্য এবং তা ক্রমে ক্ৰমে স্পষ্টভাবে আবৃত্তি করেছি। [সূরা আল-ফুরকান আয়াত ৩২]

আর আমরা কুরআন নাজিল করেছি খণ্ড খণ্ডভাবে; যাতে আপনি তা মানুষের কাছে পাঠ করতে পারেন। ক্রমে ক্রমে এবং আমরা তা পর্যায়ক্রমে নাজিল করেছি। [সূরা বনী ঈসরাইল আয়াত ১০৬]

একটা সিম্পল বিষয় ভালো করে বুঝুন, কোরআনে আল্লাহ কী বলেছেন? আল্লাহ বলেছেন কোরআনকে তিনি ‘ক্রমে ক্রমে নাজিল করেছেন।’ আল্লাহ কিন্তু কোথাও বলেন নি যে তিনি কোরআনকে যেই ক্রমে নাজিল করেছিলেন সেই ক্রমেই কিতাবি নুসখাতেও সাজাতে হবে বা সাজানো হয়েছে। এই একটা বিষয় বুঝলেই সব কন্ট্রাডিকসনের অভিযোগ দূর হয়ে যায়। তাহলে প্রশ্ন আসছে, কে সাজিয়েছে, কীভাবে সাজিয়েছে, বা কার অনুমতিতে সাজানো হয়েছে কোরআনকে নুসখা আকারে। চলুন দেখে নেওয়া যাক আরো বিস্তারিত বিষয়।

রাসূল ﷺ নিজের নফসের অনুসরণ করতেন না [4], আল্লাহ অন্যান্য নবিদের মত রাসূল ﷺ-কেও কিতাব ও হিকমাহ শিক্ষা দিয়েছিলেন ও তা অন্যদের শিক্ষা দিতে বলেছিলেন [5], এবং তিনি যে দ্বিনি বিষয়ে ওহির উপর ডিপেন্ড করতেন তা কোরআন দ্বারাই স্পষ্ট প্রমাণিত। [6] এই থেকে বলা যায় রাসূল আল্লাহর আদেশেই কোরআনের কোন আয়াত কোথায়, কোন আয়াতের পরে, কোন সূরা কোন সুরার পড়ে বসাতে হবে, অর্থাৎ আয়াত ও সুরার ক্রম কীরকম হবে তা বলে দিয়েছিলেন।

এখন আবার প্রশ্ন আসতে পারে রাসূল ﷺ বলে দিয়েছিলেন এর প্রমাণ কি! এটাও খুবই সিম্পল ও কমন সেন্স এর বিষয়, আবু বকর, ওমর, উসমানের আমলে কয়েক দফায় ওহি লেখক ও হাফেজ সাহাবিদের ইজমার ভিত্তিতে কোরআনকে সংকলন, ক্রম সাজানো ও একত্র করা হয়েছিল, যদি রাসূল ﷺ তাদেরকে না শিখিয়ে থাকতেন তাহলে তাদের মধ্যে কখনোই এই বিষয়ে ইজমা হওয়া সম্ভবই ছিল না। যাইহোক তারপরও এর জবাবে নিজের প্রমানটি উপস্থাপন করছি -

উসমান ইবনু আবিল 'আস (রা) বলেন, “আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর কাছে উপবিষ্ট ছিলাম; হঠাৎ তিনি চোখ তুলে ওপরের দিকে তাকালেন, কিছুক্ষণ পর চোখ নামিয়ে বললেন, “আমার কাছে জিবরাইল (আ) এসেছিলেন, তিনি নির্দেশ দিলেন এই আয়াত যেন এই সুরার এই জায়গায় স্থাপন করি।” [7] সকল তথ্যাভিজ্ঞ ‘আলিম এ ব্যাপারে একমত যে বিভিন্ন সুরার আওতায় আয়াতগুলোর ধারাবাহিকতা ওয়াহীর নির্দেশনার আলোকে সম্পন্ন হয়েছে। তাই এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে, বর্তমানে আয়াতগুলো যেভাবে বিন্যস্ত রয়েছে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর যুগেও ঠিক সেভাবেই বিন্যস্ত ছিল। 

কুরআনের মাসহাফে সূরাগুলির বর্তমান যে ধারাক্রম; তা মূলত কুরআন নাযিলের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী সাজানো হয়নি, বরং সংখ্যাগরিষ্ঠ ওলামাদের মতে, তা জিবরাঈল (আঃ) কর্তৃক অহী প্রাপ্ত হয়ে রাসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর নির্দেশনার আলোকে বিন্যস্ত করা হয়েছে। কারন যদি এমনটা না হত তাহলে সাহাবাগণ আবু বকর (রা) ও উসমান (রা) এর সময় কুরআনকে একটি পূর্ণ গ্রন্থ হিসেবে লিপিবদ্ধ করার সময় এই ক্রমের উপর ঐক্যমত হতেন না।[8] আর জিবরাইল যেহেতু ওহি আল্লাহর তরফ থেকে নিয়ে আসে সেহেতু বলা যায় আল্লাহর নির্দেশনাতেই কোরআনের সূরা, আয়াত ইত্যাদি সঠিক ভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছিল। 

এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে তাহলে কোরআন রাসুলের যুগে একত্র করা হয়নি কেন! এর উত্তরটিও অনেক সোজা। এর আসল কারণ ছিল,

রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর মৃত্যুর পূর্বেই পুরো আল কুরআন লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল; তবে তা একত্রিত অবস্থায় ছিল না। আল কুরআন লিপিবদ্ধ ছিল খেজুরের ডাল, হাড়, কাঠফলক, চামড়া ও স্বচ্ছ পাথরে। তৎকালে এগুলোই ছিল লিখন উপকরণ। তাছাড়া বহু হাফিজের স্মৃতিতে পুরো আল কুরআন সংরক্ষিত ছিল। জিবরীল (আ.) প্রতি বছর একবার করে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর কাছে আল কুরআন পেশ করতেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর মৃত্যুর বছর তিনি দু'বার আল কুরআন উপস্থাপন করেছিলেন। আল কুরআনের কোন আয়াত বা বিধান রহিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বলেই সম্ভবত রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর জীবদ্দশায় আল কুরআন এক জায়গায় একত্র করেননি। তাঁর মৃত্যুর মাধ্যমে আয়াত রহিত হওয়ার সম্ভাবনা চিরতরে বিলীন হওয়ায় আল কুরআন সংকলনে আর কোন বাধা রইল না। [9] কোরআন সংকলনের ইতিহাস নিয়ে চাইলে পড়তে পারেন। [10]

আল্লাহ কোরআনে বলেছেন তিনি কোরআনে ত্রুটি করেননি, এবং তিনিই এর হেফাজত করবেন। [11] আর আল্লাহ আজ পর্যন্ত সেটাই করে আসছেন, তিনি বলেন নি তিনি সশরীরে এসে কোরআনকে হেফাজত করবেন, তিনি বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন যুগে, বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে মানুষের মাধ্যমেই এই কোরআনকে হেফাজত করছেন। আল্লাহ কোরআনকে হেফাজত করবেন বলেছিলেন, এর নুসখাকে নয়, তাই পবিত্র কোরআন পুড়িয়ে বা অন্যা ভাবে ধ্বংস করে কোরআনকে ধ্বংস করে ফেলেছে, আল্লাহ ওয়াদা পালন করতে পারেনি এমনটা প্রমাণ করতে পেরেছে ভাবলে সেটা নিতান্তই তার মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

কোরআনের শব্দ সংখ্যা ও আয়াত সংখ্যা নিয়ে ইখতেলাফ!

আরেকটি অভিযোগ ছিল কোরআনের আয়াতের শব্দসংখ্যা ও আয়াত সংখ্যা নিয়ে মতভেদের বিষয়ে।

একটা বিষয় ক্লিয়ার করে দেওয়া যাক, আয়াত সংখ্যা ও শব্দ সংখ্যা নিয়ে রাসূল ﷺ হতে কোন গ্রহণযোগ্য হাদিস আমরা পাই না, যা আছে সবগুলোই সাহাবিগণ হতে প্রাপ্ত, যেহেতু সাহাবিগণের কাছে ওহি আসতো না সেহেতু উনাদের মধ্যে কোন বিষয় নিয়ে ইখতিলাফ বা মতভেদ থাকতেই পারে। যাইহোক প্রথমেই শব্দ সংখ্যা নিয়ে বলি, কোরআনে খেয়াল করলে দেখবেন অনেক শব্দ বা অক্ষর আলাদা হয়ে থাকে, মানে দুই অক্ষরের মাঝে একটু স্পেস থাকে কিন্তু দুটো মিলেই একটা শব্দ হয় বা উচ্চারণ হয়, যেমন আলিফ, ওয়াও, নুন, মিম, হামজা, ইয়া ইত্যাদি অক্ষর। এইরকম আরো কিছু জিনিস আছে যার কারণে অনেকে সেগুলোকে একটা শব্দ হিসেবে ধরেছিল আবার অনেকে আলাদা হিসেবে ধরেছিল, যার কারণে শব্দ সংখ্যা নিয়ে মতভেদ দেখা যায়।

ঠিক অনেকটা একই বিষয় ঘটেছে আয়াতের ক্ষেত্রেও, বেশ কয়েকজন সাহাবি থেকে গ্রহণযোগ্য সনদে ভিন্ন ভিন্ন আয়াত সংখ্যা পাওয়া যায়। মূলত এর কারণ হল অনেকে নাজিলের স্থান হিসেব করে আয়াত গণনা করছে, নাজিলের সংখ্যা হিসেবে গণনা করতেন, এছাড়া আরো ভিন্ন ভিন্ন ভাবে গণনা করতেন, আবার অনেক সময় রাসূল কোন আয়াত তিলাওয়াতের সময় মাঝখানে থামতেন, মূলত তা ওয়াক্ফ করা বলে, এটার বেশ কয়েক প্রকার আছে, যেমন ওয়াক্ফে তাম, ওয়াক্ফে লাজিম, মতলক, জায়েজ ইত্যাদি। তো অনেক সাহাবা ওয়াক্ফ করার আগে ও পরের আয়াতকে আলাদা আলাদা আয়াত হিসেবেও গণনা করতেন। আবার অনেক সময় রাসূল আয়াতদ্বয়ের মাঝে না থেমে দুটো আয়াতকে মিলিয়ে পড়তেন, যার কারণে অনেকে দুটো আয়াতকে ১টি আয়াত হিসেবে গণনা করতেন। আবার “বিসমিল্লাহ .. “-কে আয়াত হিসেবে গণ্য করা না করা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণেই এইসব নিয়ে মতভেদের সৃষ্টি হয়েছে সাহাবিদের মাঝে। আরো বিস্তারিত ভাবে ও আরো বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করেছেন ওলামাগণ বিভিন্ন গ্রন্থে। [12]

কুরআনের মোট আয়াত সংখ্যা কত সে সম্পর্কে কোন নির্ভরযোগ্য বর্ণনা পাওয়া যায় না। এ জন্য আয়াত সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষেত্রে মতভেদ রয়েছে। কেউ হয়ত কোন এক আয়াতকে দু’আয়াত হিসেবে গণনা করেছেন আবার কেউ এক আয়াত হিসাবে গণ্য করেছেন। আয়াতের সংখ্যা যায় হোক না কেন, আসল কথা হচ্ছে কুরআনের কোন অংশ বাদ না পড়া। আর এটা আমরা নিশ্চিত হতে পারি কোরআনের সংকলনের ক্ষেত্রে বারংবার সাহাবাগণের ইজমা সংগঠিত হওয়ার কারণে।

এই বিষয়ে আরো জানতে চাইলে দেখুন [13] 

তথ্যসূত্রঃ

[1] সূরা ইনসান আয়াত ২৩; সূরা ফুরকান আয়াত, ৫, ৩২; সূরা বনী ঈসরাইল আয়াত ১০৬

[2] সূরা আলাক আয়াত ১-৫; সূরা আবাসা আয়াত ১১-১৬; সূরা আল ফুরকান আয়াত ৫; সূরা আল-বুরুজ আয়াত ২১-২২; সূরা আল-বায়্যিনাহ আয়াত ২-৩

[3] ইবনে হাজর আস্কালানী, ফাতহুল বারি ৯/৯, ৪/৯, ৮/৬৮৩; বুখারি শরিফ, ১/৪১৯, সহীহুল বুখারী, কিতাবু ফাদাইলিল কুরআন, বাবু কাতিবিন নাবী, ২/৬৪৫, বাবু জাম’ইল কুরআন, ২:৬৪৪-৪৫, কিতাবুল আহকাম, ৩:৪৯৫-৯৬; মুস্তাদরাকে হাকোম ২/৩৬৮; সুবহী আস-সালিহ, মাবাহিস ফী উলুমিল কুরআন (বৈরুতঃ দারুল ‘ইলম লিল মালাঈন ১৯৯৯), ৬৯; আল-ইত্বকান, ১/৭৩-৭৪; ইবনে কাছির, ১/২৬; উলুমুল কোরআন, পৃ. ১৭৬; উলুমুল কোরআন, তকি্ব উসমানি, পৃ. ১৮৫

[4] সূরা কাসাস আয়াত ৫০; সূরা জাসিয়া আয়াত ২৩; সূরা নিসা আয়াত ১৩৫; সূরা সোয়াদ আয়াত ২৬; সূরা আন’আম আয়াত ৫৬, ১৫০; সূরা মায়েদা আয়াত ৭৭; সূরা শূরা আয়াত ১৫; সূরা কাহাফ আয়াত ২৮

[5] সূরা আলে-ইমরান আয়াত ৪৮; সূরা নিসা আয়াত ১১৩; সূরা আল-আহযাব আয়াত ৩৪; সুরা জুমুআ আয়াত ২; সূরা বাকারা আয়াত ১২৭-১২৯ ও ১৫১, সূরা আলে ইমরান আয়াত ১৬৪

[6] সূরা মায়েদাহ আয়াত ৪৮; সূরা নাজম আয়াত ৩-৫; সূরা আন আম আয়াত ৫০; সূরা আহকাফ আয়াত ৯; সূরা আহযাব আয়াত ২; সূরা রাদ আয়াত ৩৭; সূরা হাক্কাহ আয়াত ৪৪-৪৭; সূরা যুমার আয়াত ১৩

[7] সুবহী আস-সালিহ, ৭০; এইটা ছাড়া আরো কিছু সনদে রয়েছে একই কথা কিন্তু সেগুলো কিছু যয়িফ ও কিছু হয়তো হাসানের কাছাকাছি, যেমন আবু দাউদ ৭৮৬; মুসনাদে আহমদ ১/৫৭; তিরমিজি ৩০৮৬; মিশকাত ২২২২; মুসতাদারাক লিল হাকিম ২৮৭৫, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ২৩৭৬ 

[8] সুবহী আস-সালিহ, ৭১; মান্না আল-কাত্তান, মাবাহিছ ফি উলূমিল কুরআন, পৃ: ১৩৭-১৩৮; তুহফাতুল হাবীব আলা শারহিল খাতীব ২/১৬৩; আল ইতকান ১/১৪৮; আত তাহরীর ওয়াত তানবীর ১/৮৮; আলইতকান ফী উলুমিল কুরআন লিসসুয়ূতী-১/২১৬

[9] সুবহী আস-সালিহ, ৭৩

[10] আল কুরআন সংকলন ও সংরক্ষণের বিস্তারিত ইতিহাস ; রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবদ্দশায় পবিত্র কুরআন সংরক্ষণ

[11] সূরা আল-আন'আম ৩৮; সূরা আল-হিজর আয়াত ৯

[12] তাফসীরে ইবনে কাসীর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ১/১৭৯; আল কোরআনের বিষয় ভিত্তিক আয়াত ও বিশ্লেষণ, পৃ. ১০৯; কুরআনুল কারীম সংখ্যা, (প্রকাশকালঃ ১৪৩৭ হিজরী/২০১৬ ঈসায়ী; পল্লবী, মিরপুর-১২, ঢাকা) পৃ-৮৯-১০৬; আল্লামা জালাল উদ্দিন সুয়ূতী, আল-ইতকান ১/৬৭; সংক্ষিপ্ত ইসলামী বিশ্বকোষ ১/৭০

[13] কুরআন কি ঠিকভাবে সংরক্ষিত নেই? ; কুরআনের আয়াত সংখ্যার ভিন্নতা কি কুরআনের ত্রুটি? ; প্রফেসর আব্দুস সামাদ সারেম রাহ.-এর আয়াতসংখ্যার আলোচনা : একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা

Ashraful Nafiz

I am an ordinary Muslim student who is interested in acquiring the beneficial knowledge given by Allah and hopes to spread that knowledge among the people. facebook youtube twitter instagram quora

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Would you tell me something

নবীনতর পূর্বতন