এই আলোচনায় বিজ্ঞান নিয়ে কিছু কথা বলব। মজার ব্যাপার হলো আমি এই আলোচনায় কোরআন থেকে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তথ্য দিব যা আল্লাহ কুরআনে ১৪শত বছর আগে বলেছিল কিন্তু বিজ্ঞান এখন আবিষ্কার করছে।
পবিত্র কুরআন কোন বিজ্ঞানের কিতাব নয়, কোরআন হচ্ছে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার প্রেরিত মুসলিমদের জন্য ধর্মীয় আদর্শের কিতাব কিন্তু এটাতে বিজ্ঞানের কিছু কিছু বিষয়ে আকারে ইঙ্গিতে বিভিন্ন তথ্য দেওয়া আছে। তার মধ্যে কয়েকটা এখানে জানাব
অনেকে আবার প্রশ্ন করতে পারেন যে, এগুলা কুরআনে থাকলে মুসলিমরা আবিষ্কার করতে পারেনি কেন? ভাই মুসলিমরা আবিষ্কার করতে পারেনি এটা কি ইসলামের দোষ নাকি? এটাত মুসলিমদের দোষ। কুরআন থেকে নতুন বৈজ্ঞানিক তথ্য আবিষ্কার করা এ কাজ যে কেউ করতে পারে না কারণ এর জন্য একজন বিজ্ঞানীর জ্ঞান দরকার। আবিষ্কার করতে না পারার কারণের মধ্যে ১ম কারণ হচ্ছে মুসলিম বিজ্ঞানীরা কোরআন ঠিক মত বুঝে পড়ে না। ২য় কারণ তারা কুরআন থেকে বিজ্ঞান খোঁজার চেষ্টাও করে না। ৩য় কারণ অনেক মুসলিম বিজ্ঞানীর (যারা নতুন কিছু আবিষ্কার করেছে) পরিচয় ইতিহাসে খ্রিষ্টান বা অন্যধর্মের হিসেবে প্রচার করা হয়েছে ও হচ্ছে কিন্তু তারা কখনো ইসলাম ত্যাগই করেনি। ৪র্থ কারণ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় নাস্তিকতার প্রভাব বেশি যার কারণে অনেক মুসলিম তাদের ফাঁদে পড়ে হয় নাস্তিক হয়েছে না হয় অন্যধর্মের অধিবাসী না হয় অজ্ঞেয়বাদী না হয় ধর্ম থেকে দূরে সরে এসেছে। যাইহোক তাহলে শুরু করি আজকের আসল বিষয়।
Table of Contents
{tocify} $title={Table of Contents}
সম্প্রসারণ
وَ السَّمَآءَ بَنَیۡنٰهَا بِاَیۡىدٍ وَّ اِنَّا لَمُوۡسِعُوۡنَআমি আকাশ নির্মাণ করেছি আমার ক্ষমতা বলে এবং আমি অবশ্যই মহা সম্প্রসারণকারী।[সুরা জারিয়াত, আয়াত ৪৭]
এখানে لَمُوۡسِعُوۡنَ (অবশ্যই মহা সম্প্রসারণকারী) এই শব্দ হলো সক্রিয় বিশেষণ যার মানে চলমান ক্রিয়া নির্দেশক। এর মানে যেটা অতীতে চলছিলো সেটা বর্তমান অবধি চলছে এবং ভবিষ্যতেও চলতে থাকবে। তার মানে আল্লাহ মহাবিশ্ব সম্প্রসারণ করেই চলেছেন। এছাড়া আল্লাহ لسَّمَآءَ (আকাশমণ্ডল) বলতে শুধু পৃথিবীর আকাশ বুঝান নি এটা পৃথিবীর আকাশ ও হতে পারে পৃথিবীর বাইরে যে আকাশ সৃষ্টি করেছে সেটাও হতে পারে। এর প্রমাণ কুরআনে থেকে দেওয়া যায় যেমন, "পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন। এরপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দেন এবং তা সাত আকাশে বিন্যস্ত করেন। তিনি সব বিষয়ে সবিশেষ অবহিত।" (সূরা বাকারাহ ২৯) এখানে পৃথিবীর আকাশকে সাত আকাশে বিন্যস্ত করার কথা বলেছেন। আবার সূরা- মুমিনুন,আয়াত- ৮৬ তে আল্লাহ বলছেন, “বল, ‘কে সাত আসমানের রব এবং মহা আরশের রব?” এখানে সুস্পষ্ট ভাবে বুঝা যাচ্ছে আল্লাহ এখানে পৃথিবীর আসমানের কথা বলছে না তিনি পৃথিবীর বাইরে ৭ আসমানের কথা বলছেন।
এখন বলি বিজ্ঞানের কাছে ১৯২৯ সালে এডুইন হাবল পরীক্ষা করে দেখলেন যে আমাদের আকাশগঙ্গা (milky way) ছায়াপথের (galaxy) বাইরের সমস্ত ছায়াপথ ক্রমশ আমাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এবং এই সরে যাওয়ার গতিবেগ ঐ ছায়াপথগুলির থেকে আমাদের দূরত্বের সমানুপাতিক। অর্থাৎ একটা ছায়াপথ আমাদের থেকে যত বেশি দূরে, তার সরে যাওয়ার গতিবেগও ততই বেশি। তার মানে আমাদের মহাবিশ্ব প্রকৃতপক্ষেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। অর্থাৎ আইনস্টাইনের স্থির মহাবিশ্বের ধারণা ঠিক নয়, এর পরেই আইনস্টাইন ঐ বাড়তি রাশিটি তাঁর সমীকরণে যোগ করা প্রসঙ্গে বলেছিলেন সেটি তাঁর জীবনের সব চেয়ে বড় ভুল। এইখানে বলে রাখা ভালো যে হাবলের এই পরীক্ষাই প্রকৃতপক্ষে ‘বিগ ব্যাং’ মডেলের সপক্ষে অন্যতম যুক্তি। প্রসারণশীল মহাবিশ্বের ধারণা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে মহাবিশ্বের দু’টি বিন্দুর মধ্যে দূরত্ব সময়ের সাথে সাথে ক্রমশ বেড়ে চলেছে।
فَلَاۤ اُقۡسِمُ بِالۡخُنَّسِআমি শপথ করছি পশ্চাদপসরণকারী নক্ষত্রেরالۡجَوَارِ الۡکُنَّسِযা চলমান, অদৃশ্য
[সূরা আত তাকভীর আয়াত ১৫ ও ১৬]
বিজ্ঞানীরা একটা হিসাব করে দেখেছেন,আকাশে যত নক্ষত্র আছে,সবগুলার আলোর কারণে পৃথিবীতে ৪০ হাজার গুন বেশী আলো থাকার কথা অর্থাৎ সব সময় দিন থাকার কথা পৃথিবীতে। কিন্তু এত আলো কোথায়? অবশেষে ১৯২৫ সালে এডউইন হাবল (Edwin Hubble) নামে এক আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী পর্যবেক্ষণমূলক সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ঘোষণা করেন যে,ছায়াপথ গুলো পরস্পর পরস্পরের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে অর্থাৎ যার অর্থ হলো মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ হচ্ছে। আমরা জানি ছায়াপথের ভিতর গ্রহ, নক্ষত্র থাকে।। আর, এই নক্ষত্র গুলা দূরে যায় বলে, আমরা তাদের আলো গুলা পাই না। ঠিক একই কথা কোরআনে বলেছে, নক্ষত্র গুলা পিছনে চলে যায় আর আমরা তাদের দেখি না।
বিগব্যাঙ্গ
اَوَ لَمۡ یَرَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَنَّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ کَانَتَا رَتۡقًا فَفَتَقۡنٰهُمَا ؕ وَ جَعَلۡنَا مِنَ الۡمَآءِ کُلَّ شَیۡءٍ حَیٍّ ؕ اَفَلَا یُؤۡمِنُوۡنَযারা কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আসমান ও যমিন ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম, আর আমি সকল প্রাণবান জিনিসকে পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। তবুও কি তারা ঈমান আনবে না?[সুরা আল-আম্বিয়া, আয়াত ৩০]
বলে রাখা ভালো যে এখানে لسَّمٰوٰتِ (সামাওয়াতি) অর্থ আসমানসমূহ এবং الۡاَرۡضَ (আরদা) অর্থ পৃথিবী বা জমিন। এখানে পৃথিবী বলতে জমিনকে বুঝানো হয়েছে। আয়াতটি লক্ষ্য করুন, এখানে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে যে, একসময় আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এরা একত্রিত অবস্থায় ছিল। এটি বিগ ব্যাং এর আদি বিন্দুর প্রতি নির্দেশ করছে। আমাদের মহাবিশ্বের সবকিছুই মহাবিস্ফোরণ এর পূর্ব মুহূর্তে এক জায়গায় একত্রিত অবস্থায় ছিল। বিজ্ঞানীরা যখন জানলেন মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল, তখনই তাঁরা বুঝলেন যে অতীতে আমাদের এই বিশ্বজগৎ তা হলে অবশ্যই আয়তনে ছোট ছিল এবং এই তত্ত্বসমূহের সাহায্যে অতীত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সমগ্র মহাবিশ্ব একটি সুপ্রাচীন বিন্দুবৎ অবস্থা থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। এই অবস্থায় সকল পদার্থ এবং শক্তি অতি উত্তপ্ত এবং ঘন অবস্থায় ছিল। মাত্র এক সেকেন্ডের ব্যবধানে ঘটল বিরাট ও অকল্পনীয় এক বিস্ফোরণ। ইতিমধ্যে তাপমাত্রা নেমে এল প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মূলত এটাই ছিল বিগ ব্যাং থিওরি।
এই আয়াত নিয়ে অনেক বিস্তারিত আলোচনা করে হয়েছে এখানে, চাইলে সেখান থেকে কিছু জ্ঞান আহরন করতে পারেন - সুরা আম্বিয়ার আয়াত ৩০ সম্পর্কে আলোচনা
নেবুলা
ثُمَّ اسۡتَوٰۤی اِلَی السَّمَآءِ وَ هِیَ دُخَانٌ فَقَالَ لَهَا وَ لِلۡاَرۡضِ ائۡتِیَا طَوۡعًا اَوۡ کَرۡهًا ؕ قَالَتَاۤ اَتَیۡنَا طَآئِعِیۡنَতারপর নজর দিয়েছেন আকাশের দিকে যখন তা ছিল ধোঁয়া (’র মত)। তখন তিনি আকাশ আর পৃথিবীকে বললেন- আমার অনুগত হও, ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। উভয়ে বলল- আমরা স্বেচ্ছায় অনুগত হলাম।[সূরা হা-মীম সেজদাহ, আয়াত ১১]
এই আয়াতে বিগ ব্যাং এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, বিগ ব্যাং এর আরও প্রায় এক মিলিয়ন বছর পরের কথা। আমাদের সদ্যোজাত মহাবিশ্ব তখনো কোনো গ্রহের জন্ম দেয়নি। শুধু মাত্র অতি উত্তপ্ত মেঘ ও ধূলিকণায়, ধোঁয়ায় পূর্ণ ছিল। আর এই মেঘ ও ধূলিকণায় বিদ্যমান ছিল ৯৮% হাইড্রোজেন ও ২% হিলিয়াম। আর এটাকে আমরা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলে থাকি নেবুলা। পরে তা ঠান্ডা হয়ে গ্রহ নক্ষত্র তৈরি হয়েছে।
শূণ্য থেকে উৎপত্তি
بَدِیۡعُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ وَ اِذَا قَضٰۤی اَمۡرًا فَاِنَّمَا یَقُوۡلُ لَهٗ کُنۡ فَیَکُوۡنُতিনি আসমানসমূহ ও যমীনের উদ্ভাভক। আর যখন তিনি কোন বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেন, তখন কেবল বলেন ‘হও’ ফলে তা হয়ে যায়।[সূরা বাকারা ১১৭]
ذٰلِکُمُ اللّٰهُ رَبُّکُمۡ خَالِقُ کُلِّ شَیۡءٍ ۘ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ
তিনি আল্লাহ, তোমাদের রব; সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা, তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই।
[সূরা গাফির আয়াত ৬২]
قُلِ اللّٰهُ خَالِقُ کُلِّ شَیۡءٍ وَّ هُوَ الۡوَاحِدُ الۡقَهَّارُবল, ‘আল্লাহই প্রত্যেক জিনিসের সৃষ্টিকর্তা এবং তিনি এক, একচ্ছত্র ক্ষমতাধর’।[সূরা আর রাদ আয়াত ১৬]
এই আয়াতে একটি বিশেষ শব্দ রয়েছে: بَدِيعُ (বাদি’উ) যার অর্থ সৃষ্টিকারী, উদ্ভাবক, অস্তিত্বদানকারী আবার خَالِق (খালিক) অর্থ স্রষ্টা, সৃষ্টিকর্তা। তিনি এমনকিছু সৃষ্টি করেন, যার আগে কোনো অস্তিত্ব ছিল না। আল্লাহ এখানে বলছেন তিনি আসমান ও জমিনকে অনস্তিত্ব হতে অস্তিত্বে আনায়ন করেছেন মানে শূন্য থেকে সৃষ্টি করা যা কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন এর মতে সাথে মিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, শূন্য থেকে "কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন" এর মাধ্যমে আমাদের মহাবিশ্বের উৎপত্তি হয়েছে। মানে শূন্য থেকে আমাদের এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে আরো কিছু থিওরি বিজ্ঞান মহলে প্রচলিত আছে কিন্তু কোনোটাই প্রমাণিত নয়। একমাত্র আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন সত্যটা সম্পর্কে।
Tags:
ইসলামই সঠিক ধর্ম
মুসিউন অর্থ মহাসম্প্রসারণকারী।
উত্তরমুছুনপ্রমাণঃ https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=4722
চলুন, দেখে নিই, সূরা আয-যারিয়াতের ৪৭ নং আয়াতটি আসলে কি বলছে,
51:47
وَ السَّمَآءَ بَنَیۡنٰہَا بِاَیۡىدٍ وَّ اِنَّا لَمُوۡسِعُوۡنَ ﴿۴۷﴾
English – Sahih International
And the heaven We constructed with strength, and indeed, We are [its] expander.
Bengali – Mujibur Rahman
আমি আকাশ নির্মাণ করেছি আমার ক্ষমতা বলে এবং আমি অবশ্যই মহাসম্প্রসারণকারী,
Bengali – Abu Bakar Zakaria
আর আসমান আমরা তা নির্মাণ করেছি আমাদের ক্ষমতা বলে এবং আমরা নিশ্চয়ই মহাসম্প্রসারণকারী।
Bengali – Ahsanul Bayaan
আমি আকাশ নির্মাণ করেছি আমার (নিজ) ক্ষমতাবলে এবং আমি অবশ্যই মহা সম্প্রসারণকারী।
এ আয়াতে আল্লাহ নিজেকে মহা সম্প্রসারণকারী বলেছেন, আল্লাহ কিন্তু বলেননি যে তিনি মহাবিশ্বকে সম্প্রসারণ করেন বা করছেন বা করে চলেছেন। আল্লাহর “এবং আমি অবশ্যই মহা সম্প্রসারণকারী” কথাটি থেকে কোনোভাবেই নিশ্চিত হওয়া যায় না যে, আল্লাহ প্রতিনিয়ত মহাবিশ্বকে সম্প্রসারণ করে চলেছেন। কিন্তু এডুইন হাবলের তত্ত্ব মতে মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত সম্প্রসারিত হচ্ছে। সুতরাং উক্ত আয়াতে কোনোভাবেই এডুইন হাবলের তত্ত্ব পাওয়া যায় না।
আর্টিক্যালটা দয়া করে মনোযোগ সহকারে আরেকবার পড়ুন তাহলেই নিজের প্রশ্রে উত্তর গুলো পেয়ে যাবেন
মুছুনআসমানসমূহ ও জমিনকে আলাদা করা কিভাবে বিগ ব্যাং হয়???
উত্তরমুছুনবিগ ব্যাং এর সময় তো পৃথিবীর জন্মই হয়নি! বিগ ব্যাং হয়েছে ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে, আর পৃথিবীর বয়স মাত্র ৪.৫ বিলিয়ন বছর। অর্থাৎ, বিগ ব্যাং এর ৯.৩ বিলিয়ন বছর পরে এই পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে! উইকিপিডিয়ার বিগ ব্যাং পেজটা ঘুরে আসুন, ওখানে বিস্তারিত সব পাবেনই, সেই সাথে একটা টাইমলাইন দেয়া আছে বিগ ব্যাং সম্পর্কিত, বিগ ব্যাং কবে হলো, বিগ ব্যাং এর কত পরে পৃথিবীর সৃষ্টি হলো, এরপর ধাপে ধাপে কিভাবে আধুনিক যুগে আমরা পৌছলাম তার টাইমলাইন।
বিগ ব্যাং এর ৯.৩ বিলিয়ন বছর পরে এই পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে
তো, সূরা আম্বিয়া ৩০ নং আয়াতে কিভাবে বিগ ব্যাং খুজে পেলেন মুমিন ভাইয়েরা? বিজ্ঞান বলে বিগ ব্যাং এর সময় পৃথিবী ছিলো না, কিন্তু আল্লাহ পৃথিবী আর আকাশ আলাদা করলেন!