ফিলিস্তিনের মসজিদুল আল আকসা যে কারনে আমাদের জন্য এতো গুরুত্বপূর্ণ


মসজিদুল আল আকসা বা বাইতুল মুকাদ্দাস মসজিদ  বাইতুল মুকাদ্দাস মসজিদের সাথে ইসলামের অনেক গভীর সম্পর্ক। এই মসজিদমুসলিমদের জন্য এতো গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারন গুলো সংক্ষেপে নিচে উল্লেখ করলাম।  

১. পবিত্র কাবা শরীফের পূর্বে এটিই ছিলো মুসলমানদের প্রথম কিবলা।

২. এখানেই রয়েছে হযরত ইব্রাহিম এবং মুসা (আ.) সহ অসংখ্য নবী রাসুলগনদের কবর।

৩. এখানেই আল্লাহর রাসুল (সা.) সকল নবি রাসুলদের এবং ফেরেস্তাদেরকে নিয়ে নামাজ পড়ছিলেন। সেই জামাতের ইমাম ছিলেন মহানবি হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

৪. এখান থেকেই মহানবি হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বোরাকে করে আল্লাহর   সাথে সাক্ষাৎ করার উদ্দেশ্যে জীবরাঈলের সাথে যাত্রা করছিলেন।

৫. বনি ইসরাইলের প্রথম নবি হজরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাম এই মসজিদ ১ম নির্মাণ করেন  এবং হজরত সুলাইমান (আ) পরে আবার এই মসজিদ পুনর্নির্মাণ করেন জ্বীনদের মাধ্যমে।  

৬. এর সাথে জড়িয়ে আছে খলিফা হজরত উমর (রা.)এর সেই বিখ্যাত উটের বিরল ঘটনা।  

৭. এখানের সাথেই জড়িয়ে আছে দ্যা গ্রেট সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবীর অসংখ্য স্মৃতি।  

৮. এই মসজিদের পাথরের গায়ে লেখা রয়েছে সম্পূর্ণ সূরা ইয়াসিন।  

৯. এই মসজিদের জন্য জ্বীনদের দ্বারা পাথর উত্তোলন করা হয়েছে সাগরের তলদেশ থেকে। যা কিনা কোন মানুষের পক্ষে অসম্ভব।  

১০. এই মসজিদে ২ রাকাআত নামাজ আদায় করলে আমল নামায় ২৫ হাজার রাকাআত   নামাজের সমপরিমাণ সওয়াব লিখা হবে। রাসুলুল্লাহ সা. এই মসজিদে প্রতি ওয়াক্ত সালাত   আদায়ের সওয়াব কোন ব্যক্তির নিজ গৃহে ৫০ হাজার ওয়াক্ত সালাত আদায়ের সমতুল্য বলে   হাদিসে উল্লেখ করেছেন (সুনান ইবনে মাজা, হাদিস -১৪১৩)  

১১. পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ এই মসজিদ নিয়ে অনেক আলোচনা করছেন।  

১২. মসজিদুল হারাম ও মসজিদুল নববীর পরে সবচেয়ে বেশি পজিলতপূর্ণ এই মসজিদ।  

১৩. এটা সেই মসজিদ যেখান থেকে দাজ্জালের ফেতনা শেষ হয়ে ইসলামের নতুন যাত্রা শুরু হবে।  

১৪. আল আকসা অর্থাৎ বাইতুল মুকাদ্দাস পৃথিবীতে নির্মিত দ্বিতীয় মসজিদ।     

ফিলিস্তিন ও ইসরাইল  ১৯ শতক থেকে ইহুদিরা ফিলিস্তিনের জমি জোর করে দখল করতে করতে প্রায় অংশ দখল করে ইসরাইল নামক দেশ গঠন করেছে। এখন বাকি অল্প যা আছে তাও দখল করতে চাচ্ছে। ইহুদিরা এপর্যন্ত অনেক ফিলিস্তিনি ভাই-বোন, শিশু-বৃদ্ধ হত্য করেছে। কিন্তু আমাদের মুসলিম দেশ গুলোকোনদিন কেউ কিছু বলেনি কারন কেউ ইসরাইলকে ভয় পাচ্ছিলো আবার কেউ নিজের স্বার্থের  জন্য কিছু বলেনি। কিন্তু ২০২১ সালে মে মাসের দিকে ইসরাইল বাহিনী আল আকসা মসজিদে হামলা করে অনেক মুসল্লিকে আহত করে। তারপর শুরু হয় ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাইলের অত্যাচার ও ইসরাইলের বর্বরতা। এর উত্তরে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে হামাস হামলা করে যার কারনে মুসলিম দেশগুলোর চোখ খুলে আলহামদুলিল্লাহ। এখন প্রায় সব মুসলিম দেশসহ অন্য দেশও ফিলিস্তিনিদেরকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করছে। যদি এভাবেই চলে ইনশাআল্লাহ ফিলিস্তিন আবার মুসলিমদের দখলে আসবে ও আল আকসা আবার নিরাপদ হয়ে যাবে ও আমাদের হয়ে যাবে। এভবেই মুসলিম উম্মাহর পাশে দাড়াতে হবে ও মুসলিম উম্মাহ এক হতে হবে। 

#StandWithPalestine #FreePalestine #SavePalestine #SaveAqsa  #AlAqsaUnderAttack #PrayForPalestine #Israeliterrorism #TerroristIsrael
Ashraful Nafiz

I am an ordinary Muslim student who is interested in acquiring the beneficial knowledge given by Allah and hopes to spread that knowledge among the people. facebook youtube twitter instagram quora

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Would you tell me something

নবীনতর পূর্বতন