এক্স নাস্তিকরা যা জানিয়েছে (কাফেরদের ষড়যন্ত্র)

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক্স নাস্তিক
সংগ্রহেঃ এমডি আলী

নাস্তিকরা অবৈধ পথে বেশি টাকা ইনকামের জন্য, আল্লাহর মু'মিন বান্দাদের সরল পথ হতে বিচ্যুত করার জন্য, সাধারন মুসলিম জনতাকে নাস্তিক বানানোর জন্য, মুসলিম সমাজে ফিতনা তৈরির করার জন্য যেসব কার্যক্রম করে থাকে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত নিজে জানতে পারব আমরা এই আর্টিক্যালটিতে।

ভাইয়া,

যখন নাস্তিক ছিলাম তখন আমাদের বিভিন্ন গ্রুপ থাকতো মুসলিমদেরকে ধোকা দেবার জন্য। আমরা যেই সব মুসলিমদেরকে টার্গেট করতাম যারা ইসলামের কিছুই বোঝে না কিন্তু খুব আবেগী৷

সেই সব যুবকদেরকে কৌশলে আমাদের গ্রুপে যুক্ত করতাম এরপরে নিজেদেরকে সংশয়বাদী নামে ইসলামের বিরুদ্ধে নানান উপায়ে তাদেরকে প্রশ্ন করে আটকিয়ে দিতাম।

তারাও জবাব দিতে না পেরে হতাশ হতো আর আমরা মনে মনে বিজয়ের ডেকুর দিতাম। কিন্তু আমরা সব সময় আপনাদের মতো বিজ্ঞ মুসলিমদের থেকে দূরে থাকতাম কারণ আমরা জানি আপনারা সহজেই আমাদের ছল-চাতুরী গুলো ধরে ফেলতে পারবেন।

আমাদের ১০ অথবা কমসে কম ৫ টি করে একাধিক আইডি থাকা লাগেই। এর মাঝে এক অথবা দুইটা মুসলিম আইডি ভিন্ন ভিন্ন নামে থাকে। সেই আইডিতে আমরা আবার কুরআন হাদিসও পোস্ট করি।

আমরা মুসলিম আইডি দিয়ে মুসলিমদেরকে ফ্রেন্ড লিস্টে রাখি। কার কার আসল আইডি সেসব আমরা পর্যবেক্ষণ করি। যাতে বিভিন্ন উপায়ে তাদেরকে আমরা আমাদের সীমানার মধ্যে নিয়ে আসতে পারি। বিশেষ করে হুজুর টাইপ যারা আছে তারা আমাদের প্রধান নজরে থাকে। কাউকে দুর্বল পেলে তো কথাই নেই।

আপনার কাছে অবাক লাগতে পারে, আমাদেরকে সব থেকে বেশি সাপোর্ট করে হিন্দু দাদারা। ঈসাইদেরটা একটু পরে বলছি।

তারা নিজেদেরকে বিভিন্ন নাস্তিক আইডি বানিয়ে ইসলাম নিয়ে হাসাহাসি, তামাশা, ঠাট্টা বিদ্রুপ করে, অনলাইনে ইসলামের বিরুদ্ধে একটা প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে, যাতে এসব দেখে মুসলমানদের মনে ইসলামের প্রতি যে একটা ফিলিন্স আছে সেখানে হিট করে।

মাদ্রাসার হুজুরদের কুকর্ম পেলে সেটা আমরা দল বেঁধে বেশি করে প্রচার করি যাতে হুজুরদের নিয়ে মুসলিমদের চোখে এমনকি সবার চোখেই যাতে নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়। নাস্তিকদের আইডি গুলো দেখলে নিজেই বুঝতে পারবেন।

বেশির ভাগ মুসলিমরাই আমাদের এসব কলা কৌশল গুলো সহজে ধরতে পারে না। মুসলিমদের মাঝে ঝগড়া লাগলে আমরা মজা পেতাম। কিছু দিন আগেই একটা বিরাট মুমিন মুমিনে দ্বন্দ্ব হয়েছিল না। সেটা আমরাই কৌশলে লাগিয়েছিলাম। আমাদেরই কিছু লোক আমরা মুমিনদের সাথে মিশিয়ে দিয়েছি যাতে আমাদের স্বার্থ সহজে হাসিল হয়। ওরা নিজেদের স্বার্থে আবারো দ্বন্দ্ব লাগাতে পারে। আমাদের প্রভাব কমে গেলে আমরা এটা কাজে লাগাই।

আমাদের আরেকটা কৌশল বলি। আমাদের সব কৌশল যখন বিফলে যায় তখন আমরা এটা বেশি করে করি। আপনি নিজেও যদি নাস্তিকদের লাইভ গুলো খেয়াল করেন ব্যাপারটা ধরতে পারবেন।

আমরা নিজেদের লোকদেরকে মুসলিম সাজিয়ে মুসলিমদের কাছে পাঠিয়ে আমাদের মেসেঞ্জার কলে যুক্ত করাই। একটু সময় নেই এখানে। এরপরে সেই ফেইক মুসলিমদেরকে বলি আমাদের সাথে বিতর্ক করতে এবং আমরা নানা ভাবে বুঝিয়ে তাদেরকে ধীরে ধীরে নাস্তিক বানাই, সেই আসল মুসলিমের সামনে। এতে সে দুর্বল হয়ে যায়, আর আমাদের প্রভাব তার উপর বেশি পড়ে। সে যাতে এটা ভাবে যে, যেহেতু তার সামনে একজন মুমিন ইসলাম ত্যাগ করেছে সেহেতু ইসলামে সমস্যা আছে (নাউজুবিল্লাহ)। এভাবে ধীরে ধীরে আমাদের শিকার বানাই।

কিন্তু সে তো আর বুঝে না যে আমাদের লোকরাই ইসলাম ছেড়ে দেবার নাটক করেছে মাত্র। কিন্তু এভাবে আমরা বেশি সফল হয়েছি, সময় নিয়ে নিয়ে নানান উপায়ে আমরা সাধাসিধা মুসলিমদেরকে নাস্তিকতার দিকে নিয়ে আসার চেষ্টা করি। ১৭ থেকে ২৩ বছরের যুবকদেরকে আমরা টার্গেট বানাই। কারণ একে তো তারা খুব ইয়ং তারুপরে নবী মুহাম্মদ ﷺ-কে নিয়ে যদি তাদের দিলে ঘৃণা গেঁথে দেয়া যায় তাহলেও তো কথাই নেই। এই কারণেই দেখবেন নাস্তিকরা রসকস মিশিয়ে বানিয়ে বানিয়ে হযরত মুহাম্মদ ﷺ-কে নিয়ে নোংরা কথা বলে।

আমাদের দলের নারীদেরকে দিয়ে ইয়ংদেরকে আমরা দ্রুত শিকার বানাতে পারি। নারীরা প্রথমে আদর্শবান মুসলিম হবার চেষ্টা করে। এরপরে টার্গেট করে করে রিয়েল আইডির মুসলিম যুবকদের সাথে মেসেঞ্জারে আলাপ করে। এতে যেই যুবক সহজেই কাবু হয়ে যায়। এরপরে সেই নারী বলে, আমার কিছু বন্ধু ইসলাম ছেড়ে দিয়েছে তুমি একটু তাদেরকে বুঝিয়ে ইসলামে নিয়ে এসো।

ব্যাস, এভাবে সেই যুবক একটা পর্যায়ে রাজি হয় আর শুরু হয় গ্রুপ কলে কথাবার্তা। সেই যুবক তো এমনিতেই অজ্ঞ, ইসলাম নিয়ে কিছুই জানে না, সে যখন নাস্তিকদের সাথে কথা বলবে স্বাভাবিকভাবেই কিছুই পারবে না। এই সুযোগটাই নাস্তিকরা গ্রহণ করে। এরপরে সেই ফেইক নারী নিজেকে সংশয়বাদী হয়ে যাবার দাবি করে। এভাবে ধীরে ধীরে সেই ছেলেটিকে প্রথমে সংশয়বাদ এরপরে নাস্তিকতার চাদরে ডুবিয়ে দেবার শেষ চেষ্টা করে। কিন্তু সেই ছেলে তো আর জানে না এই নারী প্রথম থেকেই নাস্তিক ছিল, ইসলাম গ্রহণ ও ত্যাগের নাটক করেছে মাত্র।

আমার নাম নাস্তিক মহলে গেলে আমার সমস্যা আছে। তাই আল্লাহর ওয়াস্তে আমার নাম কাউকেই বলবেন না। তারা বাস্তবে যতটা লাইভে নিজেদেরকে মানবিক মানুষ হিসেবে দেখাতে চায় তার থেকেও নিজের জীবনে এরা বেশি এনভে। আমি নাস্তিক ছিলাম, আমি জানি এদের কলকব্জা সব। এরা নিজেরাই নিজেদেরকে বিশ্বাস করে না। বিশ্বাস করবে কিভাবে? ভাগে টান লাগলে হুশ থাকে না।

যারা অনলাইনে নাস্তিকতা ও সংশয়বাদ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে আমি হলফ করে বলতে পারি সব গুলো স্বার্থপর ও প্রতারক। নাস্তিকতা আমি শুধু শুধুই ছেড়ে দেইনি। আমি সামনে থেকে নিজ চোখে এসব দেখেছি। আল্লাহকে ধন্যবাদ যে আমার মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ ছিল। না হলে তাদের দুর্গন্ধর সাথে আমাকেও বসবাস করতে হতো।

আসলে মুসলিমদেরকে নাস্তিক বানানো অনেক কষ্টকর। এই কারণে আমরা বিভিন্ন কলা কৌশলের আশ্রয় নেই। যখন দেখি আমরা আমাদের কাজে আশা অনুযায়ী ফলাফল পাচ্ছি না তখন আমরা ভণ্ড পীরদের সাহায্যও নিয়ে থাকি। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এটাই সত্যি। তাদের মুরিদ গুলো তো এমনিতেই অজ্ঞ তার উপরে আমরা যখন যুক্তি বিজ্ঞান আর সংশয়বাদকে রসালো করে তাদের সাথে উপস্থাপন করি তখন তারা আকৃষ্ট হয়।

শুনলে আরও অবাক হবেন, দেওয়ানবাগীর মুরিদদের থেকে আমরা অনেক সমর্থন পাই। আমাদের লাইভ গুলোর বড় একটা ভিউ আসে সেই মুরিদদের কারণে। আমরা আমাদের গ্রুপে লাইভ গুলো ছেড়ে দিয়ে ইনবক্সে লিংক দিয়ে দেই বাকিটুকু তারাই করে দেয়। এক্স মুসলিম সেজে কমেন্টে ইসলাম বিরোধী কথাবার্তা লিখে তারাই।

কখনো দেখেছেন ভণ্ড পীরদের বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কথা বলতে? তেমন একটা দেখবেনও না। উল্টো ভণ্ড পীরদের ভিডিও গুলো ব্যাবহার করে ইসলামের বদনাম কিন্তু নাস্তিকরা ঠিকই করে।

আমাদের ভিউ কমে গেলে নবীজি ﷺ-কে নিয়ে বেশি করে কটূক্তি করতে বলতাম, আর আমরা নিজেরাই মুসলিম আইডি থেকে সেসব ছড়িয়ে দিয়ে বলি এই লাইভ বেশি বেশি শেয়ার করুন। আর মুসলিমরাও আমাদের ফাঁদে সহজে পা দিয়ে আমাদের উদ্দেশ্য সফল হতে সাহায্য করে।

অনেকে মনে করে নাস্তিকরা ইসলাম বিরোধীতা করে ডলার কামাই করে কিন্তু কথাটি পুরো সঠিক নয়। এটা আসলে নির্ভর করে পারফরম্যান্সের উপর।

আগে নাস্তিকরা সেই সব মুসলিমদের সাথেও বিতর্ক করতো যারা খুবই ইন্টেলেকচুয়াল কিন্তু সেই সব মুসলিমদের কাছে যখন মারাত্মকভাবে হেরে নাস্তিকদের ইমেজ দুর্বল হয়ে গিয়েছে এখন আর নাস্তিকরা সেই সব মুসলিমদের সাথে বিতর্ক করতে চায় না। নানান অজুহাত দিয়ে হলেও এখন নাস্তিকরা বিজ্ঞ তর্কবাজ মুসলিমদের সাথে বিতর্ক করতে চায় না, খেয়াল করে দেইখেন।

আরও দেখবেন, নাস্তিকরা সেই সব আলেমদেরকে পর্যন্ত কল দিয়েছে বিতর্ক করার জন্য যারা আসলে আলেম কিন্তু বিতার্কিক নন। মজার ব্যাপার হচ্ছে নাস্তিকরা আবার সেই সব আলেমদের থেকে দূরে থাকে যেসব আলেমরা তর্কে এক্সপার্ট হয়। হিপোক্রেসি যাহাকে বলে আরকি।

এগুলো ওপেন সিক্রেট। নাস্তিকরা ঠিকই জানে কিন্তু নিজেদের স্বার্থে কিছু বলে না। আর সততার সাথে তো নাস্তিকদের কোনও সম্পর্ক নাই'ই। আরেকটা তিতা সত্য হচ্ছে নাস্তিকদের বড় ব্যাকআপ হচ্ছে ঈসাইরা।

আপনি কখনো দেখেছেন (খৃস্টান)দের সাথে নাস্তিকদের বিতর্ক? নাস্তিকদের ওয়েবসাইট গুলো দেখলে ঈসাইদের নিয়ে তেমন ভালো মানের সমালোচনা আপনি দেখবেন না, উল্টো দেখবেন, “বাইবেলে নবী মুহাম্মদ এর নাম নেই” এর পক্ষে নাস্তিকদের লেখা আছে, “বেদে নবী মুহাম্মদ এর নামে কোনো ভবিষ্যৎবানী নেই” এর পক্ষে লেখা আছে।

যারা এই লাইনে কাজ করেন তারা আমার কথা ধরতে পারবেন আমি কাকে বুঝাচ্ছি! তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেও সেটা আসলে মুমিনদের চাপে করে করে, যাতে অভিযোগ করতে না পারে এই কারণে। না হলে সেটাও করতো না।

নাস্তিকদের সকল কলা কৌশল গুলো কি ঈসাইদের সাথে মিলছে না? আমি খুব ভালো করেই জানি নাস্তিকরা আমার কথা গুলোকে অস্বীকার করবে, করাটাই স্বাভাবিক।

আচ্ছা বলেন তো, আসাদ নুর, তসলিমা নাসরিন, নাস্তিক মুফতি মাসুদ এরা কোন দেশে আছে? আমি নাম না বললেও আপনি কিন্তু ঠিকই বুঝেছেন। এছাড়াও জার্মানভিক্ষুক নামে বেশ পরিচিত নাস্তিকটির পোস্ট গুলোতে বেশির ভাগ কারা কারা লাভ ও লাইক দেয়, কারা সমর্থন জানায় সেটা আপনি সরাসরি দেখেও নিশ্চিত হতে পারবেন আমি সত্যি বলেছি নাকি মিথ্যা।

মুক্তমনাদের কাজ গুলো দ্বারা কারা বেশি খুশি হয় জানেন?

বিখ্যাত নাস্তিক প্রবীর ঘোষের “যুক্তিবাদের চোখে নারীমুক্তি” বইতেও প্রবীর এসব ব্যাপার গুলো কিছুটা ইঙ্গিতে বুঝিয়েছেন। জানি, উনি কেন সবটুকু বলেন নাই। বললে আমার যেই বিপদ হতো উনারও সেটাই হতো আর দোষ চাপিয়ে দিত মুসলিমদের উপর।

গল্পের আড়ালের সব কথা সব সময় সবটুকু না জানাই অনেক সময় নিজের জন্য নিরাপদ হয়!

যাদেরকে আমরা আমাদের শিকার বানাতে পারি তাদেরকে প্রথমে তাদের নাস্তিক পরিচয় লুকাতে বলি আর আহলে কুরআন বা ঈসাই হয়ে থাকতে বলি। এদেরকে দিয়ে সাধারণ মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ লাগিয়ে দেয়ার সফট চেষ্টা করা হয়।

ফেইক আইডি বানিয়ে ইসলাম নিয়ে হাসাহাসি ঠাট্টা করাই তাদের নিয়মিত ডিউটি। এদের সাথে না আছে যুক্তির সম্পর্ক আর না আছে বিজ্ঞানের। সত্যকে তো তারা আগেই কবর দিয়ে রেখেছে।

আহলে কুরআনরা নাস্তিকদের আপন ভাইয়ের মতো। তাদের বেশির ভাগই তাজা নাস্তিক কিন্তু নিজেদেরকে নাস্তিক পরিচয়টা আহলে কুরআন নামে লুকিয়ে রাখে। কিছুদিন আগেই না দেখলেন মুফাসসিলের কীর্তিকলাপ। এতো চাক্ষুষ প্রমাণ সামনে থাকা সত্ত্বেও আফসোসের সাথে বলতে হচ্ছে মুসলিমরা বেশির ভাগই এসব বুঝতে পারে না।

আপনি ওদের সামনে হযরত মুহাম্মদ ﷺ নিয়ে প্রশংসা করলে দেখবেন ওরা সহ্য করতে পারে না। কারণ ওদের মনে উনাকে নিয়ে প্রচুর ঘৃণা রয়েছে। হাদিস ত্যাগ করাটা কিন্তু সেটা থেকেই। মুসলিম সমাজে বসবাস করার জন্য এরা নামে মাত্র আহলে কুরআন নাম ধারণা করে। কিন্তু ভিতরে ইসলামের সাথে কোনও সম্পর্ক তাদের নেই।

মুফাসসিল নিজেই তো এটা স্বীকার করেছে, নাস্তিক হয়ে কখনো মুসলিমদেরকে ইসলাম থেকে সরানো যাবে না। তাই মুসলিম সেজে মুসলিমদের বিরুদ্ধে লিবারেল হয়ে কাজ করতে হবে।

কিন্তু হাস্যকর কথা হচ্ছে, মুফাসসিল যখন দেখলো, আহলে কুরআন হয়েও তেমন একটা লাভ হচ্ছে না তখন আবার সে নাস্তিকতার দিকে নিজেকে নিয়ে এসেছে। দাদুরা খুব খুশি তার ইসলাম ছেড়ে দেয়াতে! যদিও আসলে সে কখনো ইসলাম গ্রহণই করে নাই!

নাম উল্লেখ করে বলা যদিও ঠিক না এরপরেও বলছি, সজল রোশনও কিন্তু মুসলিম না। সে মনে প্রাণে ইসলামকে ঘৃণা করে। সে আহলে কুরআন নাম দিয়ে ইসলাম বিরোধী ডিউটি পালন করে যাচ্ছে মাত্র। তার অনুসারীদের সাথে আমার কথাও হয়েছে।

হিজবুত তাওহীদও কিন্তু একই গোয়ালের গরু। সেলিম তো নিজেই বলেছে আপনি নাস্তিক হলেও আমাদের দলে যোগ দিলে জান্নাতে যেতে পারবেন!

নাস্তিক থাকাকালীন আমরা যেমন তরুণ তরুণীদেরকে টার্গেট করে কাজ করতাম তেমনি আহলে কুরআনরাও টার্গেট করে কাজ করে, তবে সেটা হয় উঁচু পদে থাকা লোকদেরকে টার্গেট করে। এতে এক নিশানায় অনেক কিছু শিকার করা সহজ হয়।

এদেরকে নাস্তিক ও খ্রিস্টানরা হাদিস সাপ্লাই করে, একইসাথে কিভাবে হাদিসের বিরুদ্ধে বলতে হবে সেসবও বলে দেয়।

নাস্তিকদের প্রতিটি লেখা সেই সব মুসলিমদেরকে টার্গেট করে লেখা হয় যারা ইসলাম সম্পর্কে জিরো নোলেজ রাখে। নাস্তিকরা নিজেরাও জানে তারা যেভাবে ইসলাম নিয়ে ভুয়া কথা বলে সেটা ইসলাম সম্পর্কে মোটামুটি ব্যাসিক জানা মুমিনও ধরে ফেলতে পারবে।

বিজ্ঞ তর্কবাজ মুমিনদেরকে আমরা নারী দিয়ে ইমেজ খারাপ করার ট্রাই করতাম কিন্তু তাদের উপর আমাদের চালাকির কোনো প্রভাবই ফেলে না। তারা কিন্তু এসব ঠিকই বোঝে।

নাস্তিকদের সব থেকে বড় এনিমি হচ্ছে কউমি আলেমরা। শাহবাগের সেই চাপ কি এতো সহজে ভুলবে মুক্তমনারা? কউমি আলেমদের বদনাম করতে পারলে নাস্তিকরা মনে মনে পোলাও খাওয়ার স্বাদ পায়। কারণ বেশির ভাগ মুসলিমরা উনাদের প্রতি ভালো ধারণা রাখে ও অনেক সম্মান করে। যেটা নষ্ট করে দিতে হাই লেভেল থেকে চাবি ঘুরানো হয়ে থাকে।

আমাদের অনেক পেইজ আছে যা দেখলে ইসলামিক পেইজ মনে হবে কিন্তু সেসব আমরাই চালাই। সেসব পেইজে হুজুরে হুজুরে দ্বন্দ্ব আর হুজুরদের নিয়ে হাসাহাসি করে মুসলিমদের মনে আলেমদের নিয়ে একটা নেগেটিভ চিন্তা ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি।

- সমাপ্ত

Ashraful Nafiz

I am an ordinary Muslim student who is interested in acquiring the beneficial knowledge given by Allah and hopes to spread that knowledge among the people. facebook youtube twitter instagram quora

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Would you tell me something

নবীনতর পূর্বতন